নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট এই সম্পর্কে আমাদের এই পোস্ট । আমাদের আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা নামাজের নিষিদ্ধ সময় কত মিনিট এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ।
বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ যেহেতু হানাফী মাযহাব অনুসরণ করে তাই প্রথমে হানাফী মাযহাব এর মতামত জেনে নিন: 👇
হানাফী মাযহাব এর মতামত সূর্য উদয়ের ২৩ মিনিট পরে ফজরের নামাজ আদায় করা যাবে এবং আসরের নামাজ সূর্য অস্ত যাওয়ার ২৩ মিনিট আগে আদায় করা লাগবে ।
শাফেয়ী, মালেকী এবং হাম্বলী মাযহাব এর মতামত : 👇
শাফেয়ী, মালেকী এবং হাম্বলী মাযহাব এর মতামত - সূর্য উদয়ের ১৫ মিনিট পর নামাজ পড়া যাবে এবং আসরের নামাজ সূর্য অস্ত যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে সম্পূর্ণ করতে হবে।
যেহেতু আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণ জানতে পেরেছি সম্পূর্ণভাবে সূর্য উদয় হতে ১০-১২ মিনিট সময় লাগে এবং সূর্য অস্ত যেতে ১০-১২ মিনিট সময় লাগে তাই ইচ্ছে করলে আপনি ১৫ মিনিট পর নামাজ আদায় করতে পারেন ।
ফজরের সালাত সূর্য উদয়ের পূর্বে আদায় করতে হবে, সূর্য উদয় হওয়া শুরু করলে সম্পূর্ণভাবে উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ (১০-১২ মিনিট) এই সময়ের মধ্যে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।আসরের নামায সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে পড়তে হবে, যদি কোনো কারণবশত আসরের নামাজ পড়া না হয়ে থাকে আর সূর্যাস্ত শুরু হয়ে যায় তাহলে “শুধুমাত্র ওই দিনের আসরের নামাজ নিষিদ্ধ সময়ে পড়া জায়েজ” (অন্য নামাজ পড়া নিষিদ্ধ)
কেননা সূর্য একটুখানি অস্ত যাওয়া মানে সম্পূর্ন অস্ত যাওয়া নয় ! তবে যদি সূর্য সম্পূর্ণভাবে অস্ত যায় তবে তবে ওই দিনের আসরের নামাজ কাজা পড়তে হবে ।
আপনি যখনি ঘুম থেকে জেগে উঠবেন তখনি আপনার জন্য ফজর নামাজ এর সময় শুধু মাত্র সূর্যোদয় এর সময়টুকুতে নামাজ আদায় করা যাবে না। কারন তখনকার মুসরিকগণ সূর্যের পূজা করত । তাই সূর্যাস্তের সময় তারা সূর্য কে সিজদা করত। তাই ওই সময় যদি কোন মুসলিমরা নামাজ আদায় করত তাহলে মুসরিকরা ভাবত মুসলিমরা সূর্যের পূজা করছে ।
কিন্তু এখানে কথা হচ্ছে যে এটা প্রযোজ্য কেবলমাত্র তখনি যখন আপনার হঠাৎ কোন কারনে ঘুম ভাংতে দেরি হবে৷ আপনি রোজ রোজ নবী করিম (সাঃ) এর এই হাদিস দ্বারা সারা জীবনই এভাবে নামাজ আদায় করবেন তা হবে না এবং অনেক মুসলিম এমনটাই ভাবেন বা করেন। যে নবী করিম (সা;) হাদিস যে যখন তুমি জাগবা তখন তোমার জন্য ফজর এর নামাজ আদায় করা ফরয। এই দোহাই দিয়ে আপনি সারা জীবনই তা করবেন তা হবে না৷ সারা জীবনে নবী করিম (সাঃ) একদিন মাত্র এমন হয়েছিল৷ আর হয়ত আল্লাহ নিজ ইচ্ছায় এমন করেছেন যাতে করে বান্দাদের এ শিক্ষা দিতে পারেন যেন তারা পরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়তে পারেন। কিন্তু আপনি বিনা কারণে রাত জাগবেন আর দেরি করে ঘুম থেকে উঠবেন এভাবে আপনি সব সময় করলে আপনার নামাজ আদায় হবে না ।
একটি হাদিসে এসেছে, কেউ যদি সূর্য উদয়ের পূর্বে ১ রাকাত নামাজ পড়ে আর বাকি এক রাকাত নামাজ সূর্যোদয়ের পরে পড়ে তারপরও ধরে নেয়া হবে । সে পুরো নামাজ আগেই পড়ে ফেলেছে । আসরের নামাজের ক্ষেত্রেও এই একই হাদিসে এসেছে । সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে যদি ১ রাকাত পড়ে ফেলেন আর বাকি ৩ রাকাত সূর্যাস্ত যাওয়ার পরও আদায় করেন । ধরে নেয়া হবে আপনি পুরো নামাজ আগেই পড়েছেন ।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার পূর্বে ফজরের এক রাকাত পেয়েছে সে ফজর নামায পেয়েছে। আর যে ব্যক্তি সূর্য ডুবার আগে আসরের এক রাক‘আত পেয়েছে সে আসর নামায পেয়েছে । (বুখারী ৫৭৯, মুসলিম ৬০৮, মুয়াত্তা )
No comments:
Post a Comment
We will tell you the answer. Thank You .